জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতারণা বন্ধের জন্য শক্ত আইন প্রণয়নের দাবি অনেক দিনের। প্রতারিত শ্রমিকদের অভিযোগ প্রতারিত হয়ে আর্থিকভাবে নি:স্ব হলেও তাদের অনেকেই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন এই আইন পাশ হলে সেটি বিদেশগামী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেবে।
তিনি বলেন, “বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। সাথে জটিলতাও বেড়েছে। নানাভাবে লোকজন প্রতারিতও হয়। সব কিছু আইনের আওতায় এনে তাদের অভিবাসন মর্যাদার সাথে হয় আইনে সেটাই করা হচ্ছে।”
"অভিবাসন যেনো মর্যাদার সাথে হয় আইনে সেটাই করা হচ্ছে।"
খন্দকার মোশারফ হোসেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে অর্ডিন্যান্স বলে জনশক্তি রফতানি হতো সেখানে কঠোর ব্যবস্থার বিধান ছিলনা।”
জনশক্তি নিয়ে কাজ করে এমন গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরু অনেক দিন ধরেই প্রতারণা বন্ধের জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতারণা হলে সাতবছর কারাদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছিল রামরুর তরফ থেকে।
বিদ্যমান আইনের সাথে এই নতুন আইন পাশ হরে কি পার্থক্য তৈরি হবে জানতে চাইলে রামরুর অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, “শ্রমিকদের অধিকার প্রাধান্য দিয়ে আইনটা তৈরি করা হয়েছে।”
"শ্রমিকদের অধিকার প্রাধান্য দিয়ে আইনটা তৈরি করা হয়েছে।"
অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, রামরু
তবে এই আইন তৈরির উদ্যোগ যখন নেয়া হয়েছিল তখন এর কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছিল রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।
তাদের অভিযোগ ছিল প্রস্তাবিত আইনে কিছু ধারা আছে যাতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এখন মন্ত্রীসভা আইনের খসড়া অনুমোদন করায় বিষয়টিকে তারা কিভাবে দেখছেন।
জানতে চাইলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার সভাপতি শাহজালাল মজুমদার বলেন, “আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের আছে। কেউ প্রতারণা করলে বিচার হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের আপত্তি নাই।”
"আইনটি জনস্বার্থে হলে স্বাগত জানাবো। তবে জনশক্তি রফতানির পরিপন্থী হলে স্বাগত জানাবো কি করে। "
শাহজালাল মজুমদার,বায়রা সভাপতি
তিনি বলেন, “আইনটি জনস্বার্থে হলে স্বাগত জানাবো। তবে জনশক্তি রফতানির পরিপন্থী হলে স্বাগত জানাবো কি করে। আমরা ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে মতামত দিয়েছে। এখন আইনের খসড়া দেখে আমরা মতামত প্রকাশ করবো।”
এদিকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং অভিবাসন আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উত্থাপন করা হবে।