কালেরস্বাক্ষী বহনকারী ভদ্রা নদীর তীরে গড়ে উঠা ডুমুরিয়া উপজেলার একটিঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন। কাল পরিক্রমায় আজ ডুমুরিয়া ইউনিয়নশিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারনিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল। ডুমুরিয়া একটি অতি প্রাচীন এবং বিখ্যাত অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিবাসীরা অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রাখে। এর ধারাবাহিকতা বর্তমানেও বিদ্যমান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু খ্যাতি অর্জন করে এবং বিভিন্ন সৃষ্টি কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এ ইউনিয়নটি বর্তমানে ডুমুরিয়া উপজেলার অন্যতম প্রধান উন্নত এলাকা। ডুমুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত ইউনিয়নটি খুলনা জেলার বিখ্যাত ও জনপ্রিয় একটি ইউনিয়ন ডুমুরিয়া। সাম্প্রতিক সময় ডুমুরিয়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রভূত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। পিছিয়ে পড়া নারী সমাজ শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজকর্মে সাফল্য লাভের মাধ্যমে প্রশংসনীয় স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও সার্বিক ভাবে চিকিৎসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে যা জেলা ভিত্তিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ইহা ছাড়াও সম্প্রতি বিশেষ কিছু অর্জন রয়েছে। নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
১. ডুমুরিয়া শহীদ মিনার নির্মাণ স্থাপন।
2. ডুমুরিয়া মুক্তিযোদ্ধা অফিস স্থাপন ।
3. ডুমুরিয়া ফায়ারি সার্ভিস স্থাপন।
4. ডুমুরিয়া হাজ-বাজারের রাস্তাঘাট ও রাস্তা নির্মাণ।
5. স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার নকল সরবরাহ
6. শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের সচেতনতা সৃষ্টি করা।
7. ডুমুরিয়া ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দ্রূততম সেবা নিশ্চিত করা।
8. বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক জনসচেতনতা
ক) সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জেলা ও উপজেলায়‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমাদের করণীয়’’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।
খ) জেলা প্রশাসক স্বয়ং বিভিন্ন সভা সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে ব্যাপক প্রণোদনা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি বিভিন্ন উপজেলা সফরের সময় উপজেলার জনপ্রতিনিধিবর্গ, সর্বস্তরের সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় জনগণের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মিলিত হচ্ছেন । এ সকল সভাতে জেলা প্রশাসক ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের সকলের করণীয় সম্পর্কে, মাদক পাচার ও অপব্যবহার সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও ইভটিজিং সম্পর্কে আলোকপাত করার পাশাপাশি বিগত দেড় বছরে সরকারের অর্জিত বিভিন্ন সাফল্য সকলের নিকট তুলে ধরেছেন। এতে সবার কাছে সরকারের ভাবমুর্তি সমুজ্জ্বল হচ্ছে। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে সম্যক ধারণা প্রদান করছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের করণীয় সম্পর্কে উৎসাহ প্রদান করছেন। জেলা প্রশাসকের এরূপ নিরলস প্রচেষ্টার কারণে সরকারী বেসরকারী দপ্তরসহ জন প্রতিনিধিবর্গ, মিডিয়া, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও জনগণের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ এতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
গ) বর্তমানে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রসমূহের কেন্দ্র পরিচালকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান চলছে। এই তথ্য কেন্দ্রে এসে জনগণ খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে ইণ্টারনেটের মাধ্যমে বৈদেশিক যোগাযোগ, কম্পোজ, প্রিণ্টিং, স্ক্যানিং, ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানসহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে উল্লিখিত তথ্য ও সেবা কেন্দ্রসমূহ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে ।
ঘ) উপজেলা পর্যায়ে কমিউনিটি ই-সেণ্টার স্থাপনের মধ্য দিয়ে জনগণকে সহজে ও দ্রম্নততম সময়ে সেবা প্রদান করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
মো: আব্দুল কাদের বিশ্বাস
ডুমুরিয়া ডিজিটাল সেন্টার
ডুমুরিয়া মেইন বাস-স্ট্যান্ড (উত্তর পার্শ্বে)
ডুমুরিয়া, খুলনা।
Cell No: 01713-991636
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস