ডুমুরিয়া ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র
(মো: আব্দুল কাদের বিশ্বাস)
সৃষ্টির পর থেকেই পৃথিবীর সব মানব গোষ্ঠিই তাদের নিজ নিজ কামনা-বাসনা, চাওয়া-পাওয়া, ব্যথা-বেদনা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বিরাহ প্রকাশ করে আসছে।বিভিন্নভাবে প্রকাশের এই মাধ্যমই হচ্ছে সাহিত্য। যে জাতির ভাসা, সাহিত্যসমৃদ্ধ সে জাতি তত সমৃদ্ধ। আমরা বাঙালী আমাদের অতীত সাহিত্যের ঐতিহ্যরয়েছে। লোক সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্যের একটি বিশাল ভান্ডার। ফরিদপুরের নিজস্বসংস্কৃতিও এক্ষেত্রে উল্লেখ করার মত। লোকগীতি, লোকসংগীতি, পল্লীগীতি, বাউলগানের বিখ্যাত মরমী লোক কবি ও চারণ কবিদের লালন ক্ষেত্র এ ফরিদপুরে। এজেলার অনুকুল আবহাওয়া ও পরিবেশ এদের লালন করেছে আর যুগে যুগে উপাদান ওউপকরণ সরবরাহ করে মরমী ও লোক কবিদের সাধনা ক্ষেত্রে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে।পল্লী কবি জসীমউদ্দিন, তাইজদ্দিন ফকির, দেওয়ান মোহন, দরবেশ কেতারদি শাহ, ফকির তীনু শাহ, আজিম শাহ, হাজেরা বিবি, বয়াতি আসাদুজ্জামান, আবদুর রহমানচিশতী, আঃ জালাল বয়াতি, ফকির আব্দুল মজিদ প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের সংস্কৃতাঙ্গনে ফরিদপুরের লোকগানের উল্লেখযোগ্য ভহমিকা রয়েছে।এর প্রমাণ পাওয়া যায় মুহম্মদ মুনসুর উদ্দিনের ‘হারামনি’বাংলা একাডেমীপ্রকাশি লোক সাহিত্য ও ফোকল্যের সংকলন সমূহ, আশুতোষ ভট্রাচার্যের, বাংলারলোক সাহিত্য, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্যের, বাংলার বাউল ও বাউল গান, ডঃ আশরাফসিদ্দিকীর, লোক সাহিত্য, জসীম উদদীনের জারীগান ও মুশিদ গান,প্রভৃতি লোকগবেষনামূলক গ্রন্থে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব :
·পল্লীকবি জমীস উদদীন ·তাইজদ্দিন ফকির ·দেওয়ান মোহন ·দরবেশ কেতাবদি শহ ·ফকির তীনু শাহ ·আজিম শাহ ·হাজেরা বিবি ·বয়াতি আসাদুজ্জামান ·আবদুর রহমান চিশতী ·আঃ জালাল বয়াতি | ·বাউল গুরু মহিন শাহ ·ফকির আব্দুল মজিদ ·কোরবান খান ·ছইজদ্দিন ফকির ·আজাহার মন্ডল ·আব্দুর রাজ্জাক বয়াতি ·বাউল রহমান সাধু ·মেঘু বয়াতি ·ডাঃ হানিফা ·শেখ সাদেক আলী |
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানঃ
ক্রমিক নং | নাম | সংখ্যা |
১ | ক্লাব | ৪৭৯টি |
২ | পাবলিক লাইব্রেরী | ০৯টি |
৩ | যাদু ঘর | ০১টি |
৪ | নাট্যমঞ্চ | ০৬টি |
৫ | নাট্যদল | ৩০টি |
৬ | যাত্রা দল | ০৩টি |
৭ | সাহিত্য সমিতি | ২৮টি |
৮ | মহিলা সংগঠন | ৬৬টি |
৯ | সিনেমা হল | ১২টি |
১০ | কমিউনিটি সেন্টার | ১০টি |
১১ | শিল্পকলা একাডেমী | ০১টি |
১২ | খেলার মাঠ | ৭১টি |
ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই ইউনিয়নের মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে দক্ষিণ পশ্চিমঅঞ্চলে অবস্থিত এই ইউনিয়নকে ঘিরে রয়েছে ভারতের কলকাতা রাজ্য, খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য ইউনিয়নের মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনিঅনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনেকরেন।
এই এলাকার ইতিহাস পযালোচনায় দেখা যায় যে ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বাসীর সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এই এলাকায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বৌদ্ধবিহারের কোদাল বিলের ঘোড়ার দৌড় । এছাড়াও এ এলাকায় কিছুক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিরয়েছে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়ার ইউনিয়নের অবদানও অনস্বীকায্য।
যেসব সরকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের কাজ করছে সেগুলো হলোঃ
* উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ডুমুরিয়া।
* বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ডুমুরিয়া।
* সরকারী গণ গ্রন্থাগার, জজকোর্ট রোড, ডুমুরিয়া।
* স্থানীয় সরকার ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মিলনায়তন ।
* প্রভৃতি।
খুলনা বিভাগের প্রতিটি জেলার মধ্যে রয়েছে একটি অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখানকার মানুষের জীবন ধারন পদ্ধতি, জীবিকা, খাদ্য ও বাসস্থান, ভাষা, বিনোদন সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে অভিন্নতা। এই জনপদের মানুষ মুলত কৃষিজীবী। জমির উর্বরতা বেশি বিধায় প্রায় সারা দেশের ধান, পাঠ, গম, আলু ও অন্যান্য রবি শস্য এই অঞ্চল থেকে উৎপাদিত হয়। উত্তর জনপদের এই অঞ্চলে রয়েছে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ন আঞ্চলিক ভাষাযা তাদেরকে অন্য আঞ্চলের থেকে স্বতন্ত্র করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস