১। নামঃ ৩৩৩
২। শর্ট কোডঃ 333 (যে কোন মোবাইল হতে)
৩। লং কোডঃ 09666789333 ( টেলিফোন ও বিদেশ হতে)
৪। কল চার্জঃ ৬০ পয়সা / মিনিট
৫। অপারেশনঃ ২৪X৭ এবং ১X৩৬৫
৬। উদ্দেশ্যঃ
সরকারি বিভিন্ন তথ্য সেবা, কর্মকর্তাদের তথ্য, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতিকার এবং পর্যটন ও জেলা সম্পর্কিত যেকোন তথ্য যেকোন সময় সকল নাগরিকদের পৌঁছে দিতে চালু হল কল সেন্টার ৩৩৩। আজ ১২ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কমাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এই কল সেন্টার (৩৩৩) সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীজনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি,মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জনাব সাজ্জাদুল হাসান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব আহমেদ ওয়াজেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ও স্বপ্ন ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রথম দায়িত্ব নেয় এটুআই। এটুআই এর সফলতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তিন চার বছর আগেই আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছি। কারণ আমরা কাজের গতিতে বিশ্বাসী। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সেবা যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষজনও পেতে পারে। তার জন্যই আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি, থ্রী জি এবং ফোর জি চালু করেছি। দেশের মানুষকে আর সেবার জন্য সরকারি অফিসে অফিসে দৌড়াতে হবে না। সেবাই তাদের হাতের মুঠোয় চলে যাবে। এখন আমাদের টার্গেট হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করব। আশা করছি তার আগেই আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। আওয়ামী লীগকে আপনারা যতদিন ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখবেন এভাবেই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ২০০৮ সালে যেই স্বপ্ন দেখেছি তা সে সময় ছিল একটা অবিশ্বাস্য স্বপ্ন। কৃষিভিত্তিক একটি দেশকে এভাবে এতো দ্রুত এগিয়ে নেয়া সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। আর আজ আমরা সেই দূঃস্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ৩৩৩ এর মাধ্যমে যে তথ্য ও সেবা দেযা শুরু হয়েছে তা এক নতুন দিগন্তের মুখ উন্মোচন করেছে।
রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন বলেন, “সরকারের এই মাইলফলক উদ্যোগের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হতে পেরে রবি অত্যন্ত গর্বিত। সরকারি সেবা নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে এই উদ্যোগ। ২৪ ঘন্টা দ্রুত নাগরিক সেবা প্রত্যাশা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ; ঠিক সেই প্রত্যাশা পূরণেরই বড় সুযোগ তৈরি করবে ৩৩৩।”
‘সরকারি তথ্য ও সেবা সবসময়’ এমন শ্লোগানকে সামনে নিয়ে চালু হল কল সেন্টার ৩৩৩। দেশের সকল নাগরিক ৩৩৩ এবং প্রবাসীগণ ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে কল করে সরকারী সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন এলাকার পর্যটনের স্থানসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও কল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকগণবিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে প্রতিকারের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তথ্য প্রদান ও অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।এছাড়াও দুর্যোগকালীন সময়ে সাহায্যের জন্য জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করতে পারবেন।কল সেন্টারটি ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করবে। প্রাথমিকভাবে এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক ৬৪ টি জেলায় এই কল সেন্টার সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের আওতায় এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষের অধিক নাগরিককে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৪ হাজারের অধিকবিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলোর মধ্যে ৫৪১ টি খাদ্যে ভেজাল,৪৩১টিবাল্যবিবাহ এবং ৩৯১ টি মাদকদ্রব্য বিক্রি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উক্ত কল সেন্টারের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য ইতোমধ্যে এটুআই কর্তৃক প্রতিটি জেলার একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, তিনজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও একজন সহকারী কমিশনারকে কল সেন্টার (৩৩৩) বাস্তবায়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়সমূহের উপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ কল সেন্টারটি পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছেন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি এবং বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ক্ষমতার কল সেন্টার কোম্পানী জেনেক্স।
ভবিষ্যতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলো ক্রমান্বয়ে এই কলসেন্টারে যুক্ত করা হবে এবংডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাদেরকে এই কলসেন্টারে যুক্ত করা হবে যাতে জনগন উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে এসএমএস, আইভিআর, ইউএসএসডি কোড ভিত্তিক সেবা, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও লাইভ চ্যাট এ কল সেন্টারের সাথে যুক্ত হবে। নাগরিকগণের তথ্য ও সেবার চাহিদা ছাড়াও সরকারি সেবার প্রচারণা মাধ্যম হিসেবেও এই কলসেন্টার ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিকগণকে সেবা গ্রহণের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এতে সরকারি সেবার তথ্য প্রাপ্তি ও সামজিক সমস্যার প্রতিকারে সময়, খরচ ও ভোগান্তি কমবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক জনাব কে এম আলী আজম, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী,এটুআইএরন্যাশনালকনসালটেন্ট ও সিনিয়রসহকারিসচিবজনাবমোহাম্মদআশরাফুলআমিন, রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, জেনেক্সএরএমডিজনাবআদনান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রয়োজনীয় যোগাযোগঃ আদনান ফয়সল, মোবাইলঃ ০১৬১৭০৭০০২৪, ই-মেইলঃadnan.faisal@a2i.pmo.gov.bd
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস